পেহেলগাম, কাশ্মির | ২৩ এপ্রিল ২০২৫:
কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। বুধবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে, যারা লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে দুইজন বিদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা-র ছদ্মবেশী শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) এই বর্বর হামলার দায় স্বীকার করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং হামলার মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
হামলার পর দিল্লি, মুম্বাইসহ বড় শহরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তল্লাশি এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে কাশ্মির উপত্যকা জুড়ে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাশ্মির সফর ও প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মিরে পৌঁছে পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বৈঠক করেছেন জম্মু ও কাশ্মিরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন,
"ভারী হৃদয়ে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানালাম। ভারত কখনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার দোষীরা রেহাই পাবে না।"
প্রধানমন্ত্রীর তড়িঘড়ি ফেরা ও নজরদারি
ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং গোটা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছেন বলে জানা গেছে।
আহত ও আটকে পড়াদের সহায়তা
নিহতদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মিরে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী বিমান সংস্থাগুলোকে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
নজরকাড়া বেঁচে ফেরা পর্যটকদের বর্ণনা
বেঁচে ফিরেছেন এমন কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছেন, “হামলাকারীরা হঠাৎ এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তারা পুরুষদের লক্ষ্য করেই হত্যা করে।”
বিশ্লেষকদের মতে, গেল কয়েক বছরে হিমালয়ান অঞ্চলে বেসামরিক পর্যটকদের লক্ষ্য করে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন