
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল — পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আরাকান আর্মি এখন একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনাও করতে পারছে না, আবার তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষাও করা যাচ্ছে না।”
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে দূতাবাসগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দূতাবাসগুলোর সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রবাসীদের সেবা প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ৮০ শতাংশ সমস্যার সৃষ্টি হয় দেশ থেকেই। পরে এসব সমস্যার জটিলতা সামলাতে হয় বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসকে। সেক্ষেত্রে সঠিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়ে কর্মী পাঠালে প্রবাসীদের সমস্যা কমে আসবে এবং দূতাবাসগুলোর ওপর চাপও কমবে।”
রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, “১৯৮০ সালের দিকে দেশের রফতানি আয় ছিল মাত্র এক বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে, যার পেছনে দূতাবাসগুলোর ভূমিকা আছে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।”
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি জানান, “১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন, যেখানে মাত্র ৬৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ফরেন সার্ভিসের কাজ শুরু হয়। সেখান থেকেই বৈশ্বিক জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন