জাঙ্গিয়া পরা ও পরিচর্যায় অবহেলা নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে!
যেভাবে দাঁত ব্রাশ করা প্রতিদিনের অভ্যাস, ঠিক তেমনি অন্তর্বাস বা জাঙ্গিয়া বদল করাও হওয়া উচিত নিয়মিত অভ্যাস। চিকিৎসকদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার—প্রতি ১২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর্বাস পরিবর্তন করা উচিত। এটি শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় নয়, বরং স্বাস্থ্যের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
শীতকালে গড়িমসি, কিন্তু ক্ষতি হয় সারাবছর
শীতকালে অনেকেই অন্তর্বাস বদলাতে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৪-৫ জন নিয়মিত অন্তর্বাস পরিবর্তন করেন না। যুক্তরাজ্যে ২,০০০ জনকে নিয়ে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। অথচ এই অভ্যাস থেকে শরীরে তৈরি হতে পারে দুর্গন্ধ, চুলকানি, ঘা এমনকি ভয়ঙ্কর সংক্রমণ।
জাঙ্গিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
✅ সুতির ও ঢিলাঢালা জাঙ্গিয়া ব্যবহার করুন
সিনথেটিক বা পলিয়েস্টার কাপড়ের অন্তর্বাস ঘাম আটকে রাখে, যা পুরুষত্বহীনতা পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। সুতির ও আরামদায়ক অন্তর্বাস ব্যবহার করলে বায়ু চলাচল সহজ হয় ও ত্বক থাকে স্বাস্থ্যকর।
✅ হালকা রঙ বেছে নিন
ফিকে বা হালকা রঙের জাঙ্গিয়া ব্যবহার করলে ময়লা বা দাগ সহজে নজরে পড়ে, ফলে পরিষ্কার রাখা সহজ হয়।
✅ আঁটোসাঁটো জাঙ্গিয়া নয়, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে
বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য ঢিলাঢালা পোশাক জরুরি। টাইট জাঙ্গিয়া ব্যবহারে রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে।
✅ ঘামে ভেজা অন্তর্বাস কখনোই শরীরে রাখবেন না
যারা দীর্ঘ সময় বাইরে থাকেন বা ঘামেন বেশি, তাদের দিনে অন্তত দুইবার অন্তর্বাস বদলানো জরুরি।
✅ রাতে ঘুমানোর সময় অন্তর্বাস পরা উচিত নয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে জাঙ্গিয়া না পরে ঘুমালে শুক্রাণু উৎপাদনে সহায়ক হয় এবং শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা কিশোর ও তরুণদের জন্য
এই বয়সে শরীরের বিকাশ সবচেয়ে দ্রুত হয়, তাই অন্তর্বাস পরার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা রাখা জরুরি। পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক কাপড় বেছে নেওয়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুললে ভবিষ্যতে নানা যৌন স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
স্মরণে রাখুন:
অন্তর্বাস শুধু কাপড় নয়, এটি আপনার শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশের সুরক্ষার একটি স্তর। এতে অবহেলা মানেই নিজের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন