বিদেশে ভোটার হতে প্রবাসীদের দিতে হবে চারটি বাধ্যতামূলক তথ্য: ইসি
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চারটি নির্দিষ্ট তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের পর সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা নিবন্ধন কেন্দ্রে এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে এবং পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও মজবুত করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চারটি বাধ্যতামূলক তথ্য:
১. অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফরম (ফরম-২(ক))
২. মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্ট
৩. অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ
৪. পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
এই তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস বা নিবন্ধন কেন্দ্রে সরাসরি জমা দিতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যেসব তথ্য লাগতে পারে:
-
চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫৬টি উপজেলা/থানা এলাকার নাগরিকদের জন্য বিশেষ তথ্য ফরম
-
শিক্ষা সনদ (এসএসসি, জেএসসি, পিএসসি ইত্যাদি)
-
পিতা-মাতার এনআইডি, প্রয়োজনে মৃত্যু সনদ
-
ড্রাইভিং লাইসেন্স, টি.আই.এন (যদি থাকে)
-
দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ (যেসব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
-
নিকাহনামা, স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি (যদি প্রযোজ্য)
-
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/মেয়র)
-
ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস),
ভাড়াটিয়া হলে ভাড়া চুক্তিপত্র ও বাড়িওয়ালার অনাপত্তিপত্র (বাধ্যতামূলক নয়)
যেসব তথ্য প্রবাসী সরাসরি জমা দিতে পারছেন না, সেগুলো দেশে অবস্থানরত আত্মীয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার কাছেও জমা দেওয়া যাবে।
ভোটার নিবন্ধন চলছে নয়টি দেশে
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এসব দেশে ইতোমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছে।
প্রবাসীরা অনলাইনে আবেদন করে নির্ধারিত দিনে দূতাবাসে গিয়ে ছবি তুলে ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারছেন। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম ৪০টি দেশে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন