ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা: হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের দুটি বন্দরের অবকাঠামো ধ্বংস
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ দুটি বন্দরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (১৬ মে) চালানো এই হামলার বিষয়টি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইয়েমেনের হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দরের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। আইডিএফ দাবি করেছে, “এই বন্দরগুলো অস্ত্র পরিবহন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হতো।”
হামলায় অংশ নেয় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে রিফুয়েলিং ট্যাংকার ও গোয়েন্দা বিমানও ছিল। এই আক্রমণ ‘হুথিদের সন্ত্রাসী সক্ষমতা ধ্বংসে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ’ বলেও দাবি করেছে আইডিএফ।
এটি কোনো একক ঘটনা নয়—ইসরায়েল এর আগেও হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক সূত্র আর্মি রেডিওকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত হুথিদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। সূত্র অনুযায়ী, ৬ মে ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলার পর হুথিরা অন্তত সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “এই হামলা কেবল শুরু মাত্র। হুথিরা আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। তাদের নেতৃত্ব, অস্ত্রভাণ্ডার ও হামলা চালানোর সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।”
আইডিএফ জানিয়েছে, আজকের হামলায় হুথি নিয়ন্ত্রিত বন্দর দুটির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনর্গঠনে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন