মৌলভীবাজার সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম দিনে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) স্বর্ণা দাসের পরিবারকে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি উন্নত জাতের ফিজিয়ান গাভী উপহার দেওয়া হয়।
৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে এ উপহার তুলে দেওয়া হয় মৌলভীবাজারের বিয়ানীবাজারে। বিজিবির নিজস্ব খামারে লালিত গাভীটি দিয়ে নিহত স্বর্ণার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। নববর্ষের এই দিনে বিজিবির সদস্যরা পরিবারটির সঙ্গে সময় কাটান এবং উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় ‘ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটি’র প্রতিনিধি দলও উপস্থিত ছিলেন। তারা স্বর্ণার পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, “আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়ে শোকাহত। বিজিবি শুরু থেকেই আমাদের পাশে আছে। আজ যে উপহার তারা দিল, তা শুধু একটি গাভী নয়—এটি আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতার প্রতীক। আমি বিজিবির মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান বলেন, “স্বর্ণার মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা শোকের এ সময়ে শুরু থেকেই পরিবারের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির মিডিয়া কনসালটেন্ট সাঈফ ইবনে রফিক, সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ বিপ্লব ও মোহসীন উল হাকিম এবং ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি আহসান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক সজিব খান, দফতর সম্পাদক ওমর ফারুকসহ অন্যান্য সদস্যরা।
ঘটনাটি বিজিবির মানবিক ভূমিকাকে সামনে নিয়ে এসেছে, যা সীমান্তে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজের পাশে দাঁড়ানোর এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবেও প্রশংসিত হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন