বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিবেশী ভারতের সরকার প্রধানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেননি। তবে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রথমবারের মতো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাইডলাইন বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশের বিষয়ে এখনই কিছু জানানো হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম মিশ্রি বলেন, "শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে আরও কিছু বলা সম্ভব নয়।"
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, প্রগতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ভারত বাংলাদেশকে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে চায়।
মোদি আরও আহ্বান জানান, পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এমন যেকোনো বক্তব্য পরিহার করা উচিত। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধ করা জরুরি। এ ছাড়া, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে ভারতের উদ্বেগও বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা একাধিক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের এই আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন