বৈরুত, ১৯ এপ্রিল: ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে অস্ত্র সমর্পণ করতে যাচ্ছে—এমন গুঞ্জন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে লেবাননের শীর্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শনিবার বার্তাসংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা নিরস্ত্রীকরণে আগ্রহী নয় এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, আগ্রাসন ও হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার টেবিলেও বসবে না।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব নাঈম কাশেম বলেন, “নিরস্ত্রীকরণ শব্দটি আমাদের অভিধানে নেই। কেউ যদি হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছাড়তে বাধ্য করতে চায়, তাহলে তার জবাব আমরা কঠোরভাবে দেব।”
কাশেম আরও দাবি করেন, লেবাননের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অস্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মূল ভিত্তি।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই সীমান্তে তেলআবিবের বিরুদ্ধে লড়ছে হিজবুল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে, গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পর থেকে গোষ্ঠীটিকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানিয়ে আসছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। একই পথে হাঁটছে লেবাননের মার্কিনপন্থী নতুন সরকারও।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, হিজবুল্লাহ অস্ত্র সমর্পণে রাজি হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু নাঈম কাশেমের বক্তব্যে এসব তথ্যকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন, “আমরা অস্ত্র রাখছি, কারণ এটি আমাদের প্রয়োজন। আমাদের অস্ত্রই ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।”
তবে হিজবুল্লাহ নেতা এও জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি থাকা অবস্থায় তার দল সেই শর্ত মানবে—যদিও ইসরায়েল তা লঙ্ঘন করে চলেছে।
এদিকে, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭১ জন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন