ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক ও ধর্মীয় উপাসনালয়—এমন অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
বুধবার (৭ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ভারত মসজিদসহ বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি মোদি সরকারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সংকীর্ণ ও উগ্র মানসিকতার প্রতিফলন, যেখানে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।”
চৌধুরী আরও জানান, “যেসব এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখানে হামলার আগের দিন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল। তারা নিজের চোখে দেখেছে, ওইসব স্থানে কেবল বেসামরিক নাগরিকরাই ছিলেন।”
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি কমব্যাট ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, দেশটি এই হামলা চালিয়েছে ‘সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন পৃষ্ঠপোষকতা’র জবাবে। বিশেষ করে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়াতেই ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালানো হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন