ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক, সাড়া বাংলাদেশেও

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে ঢাকা

বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে

সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রোববার, ১৮ মে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI)-এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১১৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পড়ে।

শীর্ষে রয়েছে বাহরাইনের মানামা

একিউআই অনুযায়ী, ওই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল বাহরাইনের মানামা, যার স্কোর ছিল ২৪৩। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল কাতারের দোহা (২৩০) এবং তৃতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর (২০৯)। এই স্কোর অনুযায়ী, মানামা ও দোহায় বায়ুর মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ছিল, যা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

একিউআই স্কোরের ব্যাখ্যা

• ১০১–২০০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’

• ২০১–৩০০: ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

• ৩০১–৪০০: ‘বিপজ্জনক’, যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে

ঢাকার বায়ুদূষণের কারণ ও প্রভাব

ঢাকায় একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি মূল দূষণ উপাদানের ভিত্তিতে:

• পিএম-১০ ও পিএম-২.৫ (বস্তুকণা)

• নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂)

• কার্বন মনোক্সাইড (CO)

• সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂)

• ওজোন (O₃)

এর মধ্যে পিএম-২.৫ সবচেয়ে ক্ষতিকর, যা বাতাসে মিশে থাকা অতি সূক্ষ্ম কঠিন ও তরল কণার সমষ্টি। এই কণাগুলো শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে ফুসফুসের জটিলতা, হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। অন্যদিকে NO₂ প্রধানত নির্গত হয় পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প কারখানা ও আবাসিক জ্বালানি পোড়ানো থেকে।

ঋতুভেদে দূষণের তারতম্য

ঢাকায় সাধারণত শীতকালে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি হয়, কারণ তখন বাতাস ভারী থাকে ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বর্ষাকালে বৃষ্টির ফলে বাতাস কিছুটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় হুমকি।

---

উপসংহার:

ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ এখন আর কেবল পরিবেশগত সমস্যা নয়, এটি জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং জনসচেতনতা ছাড়া এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়