বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান, বলেছেন যে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং জনগণের সমর্থন ও রায়ের ভিত্তিতে বিএনপি এই কার্যক্রম শুরু করবে। তিনি জানান, জনগণের চাওয়া এবং একটি বিশেষ মহলের চাওয়ার মধ্যে যে অমিল রয়েছে, তা দূর করতে হবে। তবে, বিএনপি দেশের সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি সফল সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পঞ্চগড়ের পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে, তবে আমাদের প্রতিজ্ঞা দৃঢ়। সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে আমরা যা মানুষের সামনে বলেছি, তাই করবো ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের একটি প্রধান দল হিসেবে আমরা শুরু করবো, এরপর আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ও নেতাকর্মীরা তা চালিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কোনোভাবেই যাতে মানুষের ভোট ও রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। কারণ এসব বাধাগ্রস্ত হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।”
এছাড়া, তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছর ধরে জনগণের রাজনৈতিক ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে বিচারব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য খাতে ধ্বংসের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সতর্ক করেন, সমাজে যে অধঃপতন ও অনাচার শুরু হয়েছে, তা চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন