ঢাকা, ১ মে — পহেলা মে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের মে দিবস অতীতের চেয়ে ভিন্নতর, কারণ এটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরুর প্রতীক। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়ন না হলে সেই নতুন বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মে দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস জানান, শ্রমিকদের উন্নয়নে অংশীদারিত্বমূলক একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দেখে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অভিভূত হয়েছেন। তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে আমরা নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারব।” শ্রমিকের অধিকার আদায় না হলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শ্রমজীবী মানুষের অবদান তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “পোশাক, পরিবহন, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিকের পরিশ্রম এবং মালিকের মেধা মিলেই অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করাটাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের কল্যাণে ২০০৬ সালের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং ৪৪টি সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রম আদালতের কার্যকারিতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন যে, বাংলাদেশ ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের নিয়ে নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে। দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা অধিদফতর গঠন এবং সারাদেশে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংস্কারের বাস্তবায়ন শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
এই মে দিবসে বক্তারা শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন