ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫: রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় মুখ খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রায়হানা বেগম জানান, ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, “পারভেজ হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে তিনজন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনায় যেসব নারী শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, তারা বনানীর স্কলার্স ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “পারভেজের পরিবারের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মকভাবে থাকবে। তার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায়, সে লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেব।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে পারভেজের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানানো হলেও, ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজের ওপর হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল তাকে ঘিরে ধরে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পারভেজের মরদেহ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, যেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে তার মরদেহ দাফন করা হয় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন