"নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলনে বিএনপি, প্রতিক্রিয়া এলজিআরডি উপদেষ্টার"



নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি গায়ের জোরে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সোমবার (১৯ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএসসিসির মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে বিএনপির চলমান অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানান উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ তাঁর পোস্টে একাধিক আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কথা তুলে ধরে বলেন, এই পরিস্থিতি নিরসনের আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে নগর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার আগেই গেজেট প্রকাশ করেছে, এবং দুই নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশও উপেক্ষিত হয়েছে।

এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দেশনা নেই বলেও জানান তিনি।

পোস্টে আরও বলা হয়, ইশরাক হোসেনের শপথ না দেওয়ায় একটি রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে। ফলে শপথ অনুষ্ঠান এখনই সম্ভব নয়। বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলার রায়ের দৃষ্টান্ত টেনে উপদেষ্টা জানান, ট্রাইব্যুনালের অবস্থান দ্ব্যর্থবোধক।

তিনি বলেন, মেয়রের মেয়াদ নিয়েও এখন জটিলতা তৈরি হয়েছে—তিনি আদৌ দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নির্বাচন কমিশনের চিঠিতেও বলা হয়েছে—‘কোনো আইনি জটিলতা না থাকলে’ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু এখনো একাধিক মামলা, রিট এবং মতামত বিচারাধীন থাকায় সেই শর্ত পূরণ হয়নি বলে দাবি আসিফ মাহমুদের।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এসব জটিলতা নিরসন না করে আন্দোলনের মাধ্যমে শপথ আদায় করার প্রচেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে।”

অবশেষে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ইশরাক হোসেন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরাই এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Choose Your Language