ঢাকা, ৬ এপ্রিল ২০২৫:
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশসহ আশেপাশের ভূমি পরিবেষ্টিত দেশগুলো উপকৃত হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএন-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রকাশিত চার মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে তিনি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে চলেছে। এই যাত্রায় চীনের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।” তিনি জানান, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ২৭ বছরের নিচে, যারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।
স্বাস্থ্যখাত নিয়েও বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। তিনি চীনের হাসপাতালগুলোর প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ চীনা স্বাস্থ্যসেবা পেতে আগ্রহী। চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে পারে।”
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের সাফল্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যতেও চীন বাংলাদেশের রূপান্তরে সহযোগিতা করবে বলে আমি আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশে চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি, যাতে বাংলাদেশের মানুষ চীনের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি বিশ্ব শান্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “শান্তিই একমাত্র সমাধান। যুদ্ধ কখনোই শান্তি আনতে পারে না।”
উল্লেখ্য, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন। এরপর তিনি বেইজিং সফর করেন, যা প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন